বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
আরমান শেখ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রতিনিধি : মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করে ঋণগ্রস্থ হয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন বলে আলী আহম্মদ নামে সোনাকুড় গ্রামের একজন অভিযোগ করেন। তিনি এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ে ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কম’কতা’ মো আলাউদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের অফিসে কোন এম এল এস এস ছিল না এ কারনে আলী আহম্মদ এ অফিসে উমেদার হিসেবে কর্মরত ছিল। বাড়ী সোনাকুড় গ্রামের নিচুপাড়া। সে পিআইও অফিসের চা আনা নেয়ার কাজ করত। তারপর অফিসের কাগজপত্র ফটোকপি করে দেয়া এবং বিভিন্ন অফিসে চিঠি পোষ্ট করা এসব কাজ করত।অফিসের মোটারসাইকেল চালিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়ে যাওয়ার কাজটিও করত আলী আহম্মদ।
কিছুদিন আগে সে আথি’ক বিভিন্ন সমস্যা দেখায় এবং সরকারি ঘরের কিছু কাজ করতে চায়। তাকে ঘরের কিছু কাজ দেয়া হয়। কাজ করতে যেয়ে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে আরেকটি বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর পরিবারটি নিশ্ব হয়ে পড়ে। এজন্য আমি অসহায় পরিবারটির কথা চিন্তা করে পরিবারিক ভাবে বিষয়টি নিস্পত্বি করতে বলি।
এছাড়াও আলী আহম্মদের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড আমার নজরে আসলে তাকে অফিস থেকে বাদ দেয়া হয়। পুনরায় সে একটা সুযোগ চায় আমার কাছে এবং পরবতী’তে সে অনেক অনুনয় বিনয় করার কারনে এবং আর্থিক সমস্যার কারন দেখালে তাকে দিয়ে আরও কিছু সরকারি ঘর করাই। এ সকল ঘরের বিভিন্ন আর্থিক হিসাবে আবার সে গরমিল করে ।
এর ফলে আলী আহম্মদ কে ঘরের কাজ থেকে বাদ দেয়া হয়। এ নিয়ে আলী আহমদ স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে আমার সাথে অনেক বাগ বিতন্ডায় জরিয়ে পরে এবং বিভিন্ন যায়গায় যেয়ে আমাকে এবং সাবেক ইউ এন ও রাশেদুর রহমান স্যারকে নিয়ে প্রতারনামূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।